সুপ্রাচীন রেশমপথের আঁকে বাঁকে


              বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বেড়াজালে বিভিন্ন দেশে অবাধ বিচরণ সম্ভব নয়। কিন্তু এমন এক সময় ছিল যখন মানুষকে এক দেশ থেকে অন্য দেশ ভ্রমণের জন্য অথবা ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য কোন পাসপোর্ট ভিসার পারমিট লাগতো না। ইচ্ছা ও ক্ষমতা অনুযায়ী যে কেউ যে কোন দেশে  যেতে পারতো। এমনই এক দীর্ঘতম সড়ক পথ ছিল সিল্ক রোড বা রেশম পথ। যা সে যুগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক নেটওয়ার্কের কাজ করেছিল।  তবে এই পথে সবথেকে বড় সমস্যা ছিল ডাকাতের ভয়  এবং প্রতিকূল পরিবেশ ।  সুদীর্ঘকাল ঐতিহাসিক এই পথে  ভারত, চীন এবং ইউরোপের মধ্য দিয়ে  পণ্যের আদান-প্রদান ও ভাবনাচিন্তার বিনিময় চলেছিল। ২০১৪ সালে   ইউনেস্কো এই সড়কটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। কিছুদিন আগে মার্কিন ইতিহাসবিদ ও মধ্য এশিয়া বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফ্রেডরিক স্টার বিশ্ববাণিজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে হিসাব করে দেখিয়েছেন যে জলপথের তুলনায় স্থলপথের এই পথ অতিক্রম করলে বর্তমানে পরিবহনের যে বিশাল ব্যয় হয় তার এক তৃতীয়াংশ কম ব্যয় হবে । এবং এই সিল্ক রুট চালু হলে এশিয়ার মধ্যে বানিজ্য আশি  শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

           যাইহোক যাকে নিয়ে এত গল্পগাথা সেই  সুপ্রাচীন সিল্করুটকে ঘিরেই এবারের আমাদের ভ্রমন।  ভোর ভোর  এনজিপি  পৌঁছে আমরা সোজা সিলারিগাঁও এর উদ্দ্যেশে রওনা দিই।   রাত্রে গরম ছিল না।   তাই ট্রেনে কষ্ট হয় নি।  তিস্তা বাজার থেকে কালিম্পং হয়ে সিলেরিগাঁও  এসে  যখন পৌঁছালাম  তখন দশটা বেজে গেছে।   

            টিফিন খেয়ে ফ্রেশ হয়ে আশপাশটা ঘুরতে  গেলে বাদ সাধলো টিপ্ টিপ্  বৃষ্টি  । বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কাছেপিঠেই একটু বেরিয়ে পড়লাম। তখন অনবরত পাহাড়ের কোলে মেঘেরা ভেসে বেড়াচ্ছে । দূরে উঁচু সারি সারি ঝাউবন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।  ঝোপঝাড়ের ফাঁকফোঁকর থেকে ইতিউতি ছোট ছোট পাখিদের গান শোনা গেলেও চট করে তারা নজরে আসে না।  ঘাস খাওয়া গরুগুলোর শরীরের এখানে ওখানে জোঁক আটকে রয়েছে। দেখে বড় মায়া লাগে কিন্তু  শিং দেখে কাছে  যেতে ভয়ও হয়। গলায় লাগানো ঘণ্টার অনবরত   টুংটাং আওয়াজটা বেশ মনোযোগ আকর্ষক।  হঠাৎ ওপর থেকে সরু পাহাড়ি পথ বেয়ে একটা ফ্যামিলি নেমে এলো। শুধুমাত্র বয়স্ক ভদ্রমহিলাটির হাতে ছিল একটি লাঠি। বললেন ইচ্ছেগাঁও  ঘুরতে গেছিলেন। সেখানে পৌঁছোতে নাকি খুব বেশি সময় লাগে না, রাস্তাও ভালো। তবে জোঁকের একটু ভয় আছে, এই যা। আকাশ খুব একটা পরিষ্কার ছিল না তাই যাবার ইচ্ছে থাকলেও আমাদের ঠিক সাহসে কুলালো না ।

           সিলারিগাঁও এ ছোট ছোট ঘরগুলো ভারী সুন্দর করে সাজানো।   ফুলের যেন শেষই নেই। আর সেই ফুলগুলোর মাঝে ছোট ছোট বাচ্চারা খেলে বেড়াচ্ছে। চা -কফির ছোট একটা দোকান পাওয়া গেল।  মোমো খাবার সাধ হলেও  তা মিটল না। অর্ডার না দিলে তারা নাকি মোমো বানিয়ে রাখে না। ছোট্ট ছিমছাম গ্রামটা বেশ ভালো। এখানে নিরিবিলিতে মেঘেদের আনাগোনা দেখে, পাখিদের গান শুনে  সুন্দর সময় কেটে যায়।  হেভেন ভ্যালির হোমষ্টেটায় কুক ছিল নবদ্বীপের। বাইরে গিয়ে রান্নায় বাঙালি পদ ও স্বাদ পেলে ভালই লাগে । হোমষ্টেটার একটা অংশে কাজ চলছিল। যে মিস্ত্রিরা কাজ করছিল তারাও সব বাঙালি। বেশ গল্প জুড়ে দিয়েছিল আমাদের সঙ্গে। সকাল সকাল ওখানে কিছু নির্দিষ্ট জায়গাতেই নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় তাই সকলেই এক এক করে বাড়িতে কথা বলে নিচ্ছিল। আমরাও কিছুপরে দরকারি ফোনকলগুলো সেরে নিলাম।  

              সকাল  ৮:৩০টা নাগাদ গাড়ি এলো।  জুলুক লুপ্স  দেখার  অপেক্ষায় রয়েছি  । পাহাড়ি পথের দৃশ্যপট উপভোগ করতে করতে  একসময় ঋষিখোলায়  এসে পৌঁছালাম। ছল্ছল্ করে বয়ে চলা নদীর স্বচ্ছ  ঠান্ডা  জলে কিছুক্ষন কাটিয়ে চলে এলাম রেনোকে  । এখানে খুব সুন্দর বিশ্ব বিনায়কের একটি মন্দির আছে । পথে পড়ল গাম্বিরে ফলস।  ড্রাইভার সুরেন রংলিতে সিকিমে  ঢোকার পারমিশন  নিতে গেলে আমরা টুকটাক শীতের কিছু পোশাক কিনলাম।  পথের ধারে বেশকিছু ছোট ছোট শিবমন্দির নজরে এলো।  তাতে দেবতাকে সাধ্যমত ফুল দিয়ে অর্চনা করা হয়েছে।  কয়েক জায়গায় দেখলাম মহিলারা ফুচকার স্টল নিয়ে বসে আছে।  তবে ভিড়টা ছিল লক্ষ্যনীয় ।

         পদমচেনের আগে কেউখোলা ফলস পেলাম।  এরপর থেকে রাস্তাটা  ছিল ভীষণ রোমাঞ্চকর। ঝাউবনের ফাঁক গলে মেঘেরা রাস্তায় ঢুকে হানা বাঁধছিল।  ঠিক যেন তাদের আপন দেশে  বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে তারা একযোগে বদ্ধপরিকর। একবার মেঘ ডাকলো এমনই জোরে যেন পাশে দাঁড়িয়ে সে গর্জন করছে।   

      

              বৃষ্টির দাপটে জুলুক পৌঁছাতে আড়াইটা বেজে গেল।  জুলুকের  হোমস্টের (টিবেটীয়ান ভ্যালী) কাছে রাস্তাটা ছিল ভীষণ খারাপ।  এদিককার  ড্রাইভার  হলে ওই রাস্তায় কখনো গাড়ি চালাতেই পারতো না। কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি কমে গেলে আমরা লাঞ্চ সারলাম। এখানকার রুমগুলো খুব ভালো ছিল আর  কিচেনটার তো কোন কথাই নেই, কি সুন্দর সাজানো-গোছানো। বলা যায় এক্কেবারে  টিপটপ।  বেশ কিছুক্ষন রেস্ট নেওয়ার পর নিচে ছোট গুমটিতে গেলাম মোমো-থুকপার উদ্দেশ্যে কিন্তু পাওয়া গেল না। ওয়াইওয়াই খেয়ে মন ভরাতে হলো। ঠাণ্ডায় প্রায় জমে যাওয়ার জোগাড়।  চা খেলাম। এখানকার ছোট্ট পাহাড়ি দোকানে কত কি জিনিসই না থাকে। ছুরপি ( ইয়াকের দুধ থেকে তৈরি) সেটা কেনা হল। ভীষণ রকমের শক্ত। চিবানোই এক প্রকার দায়। রুমে ফিরে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দাদা-বৌদিদের সাথে পরিচয় হল। গল্প জোড়ার পাশাপাশি হোটেলের ভাই আর ওনার মিসেসের সাথে কিচেনে ঢুকে পড়লাম।   টুকটাক কথা চলছিল।  ওদের রান্না করার পদ্ধতি দেখছিলাম।

            সারারাত পাহাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছিল। সন্ধ্যে থেকে লোডশেডিং তবে জেনারেটর  ছিল। জিওর নেটওয়ার্ক ভালো কাজ করছিল না। এখানে  এয়ারটেল জিন্দাবাদ। সাততাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ায় রাত্রি দুটোই ঘুম ভাঙলে বাইরে দেখি অবিশ্রাম  বৃষ্টির হয়ে চলেছে। এরপর ভোর চারটে থেকে মোটামুটি জেগে। বাইরে আকাশ তখন পরিষ্কার । ঠাণ্ডার ভয়ে  রুমের বাইরে বেরোয় নি । বেরোলে হয়তো  ভালো ভিউ  ও পাখি  পেতাম। পাহাড়ি পাখিরা ভীষণ রঙচঙে হয় । তাই খুব ইচ্ছে ছিল তাদের লেন্সবন্দি করার।  সকালে রাস্তায় হঠাৎ একটা কালচে মেরুন রঙের পাখি দেখলাম কিন্তু চলন্ত গাড়ি বলে আর তোলা হয়ে ওঠেনি। সিলেরিগাঁও এও  কিছু জোটেনি।

 

           পরদিন সকাল-সকাল রওনা দিলাম নাথাং এর উদ্দেশ্যে। সেখানেই রাত্রিবাস। জুলুক থেকে আসার পথটা ছিল অসাধারণ। মনে হয় যেন মেঘেদের রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছি। চারদিক রোদ ঝলমল্ করছে । পাহাড়ের পাকদণ্ডী বেয়ে উঠছি। মাঝেমধ্যে রডোড্রেনড্রনের দেখা পেলেও নর্থসিকিমের মতো এখানে তেমন আধিক্য ছিল না। দূরে নীচের পাহাড়ে কাটা কাটা সাদা মেঘেরা যেন ডেরা বেঁধেছে। ঐতিহাসিক সিল্করুটের জিগজ্যাগ রাস্তার  সৌন্দর্য সত্যিই অপূর্ব। সব মিলিয়ে মনের মাঝে বেশ একটা ছাপ ফেলে।

           প্রায় ৪০০০ মাইল দীর্ঘ প্রাচীন বানিজ্য পথটি চৈনিক রাজবংশ হানদের রাজত্বকালে শুরু হয় সিল্কের রপ্তানিকে কেন্দ্র করে। ষোড়শ শতাব্দিতে কিছু অদূরদর্শী শাসকের কর আদায় এই পথে বাধার সৃষ্টি করে। সুপ্রাচীন এই বানিজ্য পথটিকে ঘিরে দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন গবেষণা হয়ে আসছে। এর মধ্যে চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষের ‘বিয়ন্ড দ্য হিমালয়াজ’ এক ব্যতিক্রমী অনবদ্য তথ্যচিত্র।

 

              থাম্বি ভিউ পয়েন্ট থেকে  আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘার পরিবার দেখে পুরোপুরি আপ্লুত হয়ে পড়ি। তবে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ বারবার  কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ঢেকে ফেলছিল।   এরপর সানরাইজ পয়েন্ট লুংথাং পেরিয়ে এলাম  লক্ষণচকে।  এখানে আকাশে কারা যেন নীল রঙ ছড়িয়ে দিয়েছে। মোমোর সাথে গরম গরম সুপ্ খাওয়া হলো।  ঠাণ্ডার মধ্যে বেশ এনার্জি পাওয়া গেল। কিন্তু এরপর হঠাৎ কোথায় থেকে রাশি রাশি  মেঘ এসে চারদিক থৈ থৈ করা সুন্দর রোদটাকে এক লহমায় ঢেকে ফেলল।  সকাল সকাল   নাথাং না গিয়ে বাবা মন্দিরে ঘোরার প্ল্যান করা হলো।   

           কিন্তু ওল্ড বাবা মন্দিরের  চারদিকটাও ছিল  শুধু মেঘে মেঘে ঢাকা। তাই যাওয়া  আসাই  সার হল।  ভীষণ কুয়াশার মাঝেই ঘুরলাম আমরা । তার ওপর বাড়তি পাওনা হলো ভীষণ ঠান্ডা হাওয়া। নাথাং এ  নেমে  এলাম অন্য রাস্তা দিয়ে। সুরেন ড্রাইভারের ও রাস্তাটা ঠিক চেনা ıনয়।  আর্মিদের সাহায্য নিতে হলো।   পথে লোকাল লোক নেই বললেই চলে।

 

           নাথাংয়ের  হোমস্টেটা (সানসেট ভিউ পয়েন্ট) থেকে পুরো উপত্যকাটা  খুব সুন্দর চোখে পড়ে। একদিকে চওড়া রাস্তা উঠে গেছে ছাঙ্গুর দিকে। অন্য দিকটায় পাইন, ফার, ঝাউবন নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আছে  গুরুগম্ভীর পাহাড়গুলো।  সারাদিন ঘনঘন মেঘেদের আনাগোনায়   উপত্যকা জুড়ে এক লুকোচুরি খেলা চলছিল। ঝমঝমিয়ে একবার বৃষ্টি নামার পর প্রকৃতি দেবী উদার চিত্তে তার সৌন্দর্য দেখার সুযোগ করে দিলেন। গোধূলি আকাশের  আলো – ছায়া  তখন নীলচে পাহাড়ের গায়ে পড়েছে। সদা চঞ্চল  মেঘেদের ক্ষণে ক্ষণে  স্থান বদলের কারনে মনে ভ্রম জাগে দূর কোন পাহাড়ি গাঁয়ে বোধহয় রান্নার উনান জ্বালিয়েছে।  হয়তো বা  বিশাল কোন ভোজ কাজ আছে, তাই এত ধোঁয়ার বাড়াবাড়ি। সত্যিই কি অদ্ভুত মায়াময় জায়গা।  কয়েকটা পাখি এক চক্কর করে পাক খেয়ে বাড়ির কার্নিশে  বসে কিচ কিচ শব্দ করছিল। মেরুণ রঙা এক পাখি রাস্তার ওপাশের ছোট বাগানটাতে দুবার এসে বসলেও লেন্সবন্দি করতে পারলাম না। আক্ষেপ রয়ে গেল।

            হোমস্টের দাদা-বৌদির সাথে পরিচয় হলে জানলাম তিনি ১৯ বছর বয়স থেকে আর্মিতে ছিলেন তাই সংসারও শুরু করেছেন অনেক দেরিতে। ছোট্ট মেয়েটি গ্যাংটকে পড়াশোনা করে।  এইসব অঞ্চলের অধিকাংশ বাচ্চাকেই গ্যাংটক এ পড়াশোনার জন্য যেতে হয়। পথে একই কথা শুনছিলাম মোমো-কফি দোকানের এক দিদির কাছে । গ্রামের ছোট প্রাইমারি স্কুলে বাইরে থেকেই টিচাররা আসেন। আমাদের এখানে যখন গরমের ছুটি পড়ে তখন ওই সব পাহাড়ি এলাকায় ১০-১২ দিন মতো ছুটি দেওয়া হয়। বাকি ছুটিটা শীতকালীনই হয়ে থাকে। নানারকম পাহাড়িয়া গল্প শুনতে শুনতে মনটা কেমন উদাস হয়ে পড়ছিল।

         যাইহোক এরপর নিউ বাবা মন্দির,  ছাঙ্গু, কুপুপ লেক, সারাথাং লেক, বরফের চাদরে মোড়া থেগুগ্রাম এক এক করে দেখলাম। কখন আবার পাথরের ওপর বয়ে চলা কুলুকুলু বরফগলা জলের শব্দে ক্ষণিকের জন্য প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারালাম।  তবে এমন হারানোটা অবশ্য মন্দ লাগে না। 

            সারাথাং লেক পেরিয়ে কুয়াশার মাঝেই দেখলাম নাথুলা পাস যাওয়ার রাস্তা। একসময় এই পথে তিব্বত থেকে বাণিজ্য করতে আসা ব্যবসায়ীরা  জুলুকে  রাত্রি বাস করত। এলিফ্যান্ট লেক থেকে ভাসা মেঘেদের ফাঁক দিয়ে সাদা বরফে মোড়া পাহাড় দেখা যায়। এখান থেকে জেলেপ লা পাস দেখা যায়। এই সব সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিদেশীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। পুরো রাস্তা জুড়ে দেখা যায় অজস্র সাঁজোয়া গাড়ি ।

         এরপর আমরা গ্যাংটকের দিকে রওনা দিই। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর। ২০১৬ সালে সিকিমকে ভারতের প্রথম অর্গানিক রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেদিনের সন্ধ্যেটা গ্যাংটক  কাটিয়ে পরদিন  আমরা একটু  তাড়াতাড়ি  ট্রেন  ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। রাস্তায় বিশাল জ্যাম। একটা গাড়ি দুমড়েমুচড়ে পড়েছিল,  দেখে প্রায় আৎকে উঠেছিলাম।  স্টেশনে পৌঁছাতে দেরী হল। অনেকটা রাত্রে ট্রেন ছিল তাই অসুবিধে হয়নি।

 

  আমাদের  জার্নিটার অধিকাংশই ছিল মেঘ-কুয়াশায়  ঢাকা। বরফের চাদরে মোড়া  পাহাড়ের ভিউ  আমরা  কোনভাবেই এনজয়  করতে পাইনি।   প্রকৃতিদেবী আমাদের প্রতি সম্পূর্ণ বিরূপ ছিলেন। নর্থ সিকিমে যতো ভাল আবহাওয়া পেয়েছিলাম  এবারটা ঠিক ততটাই খারাপ ছিল।  তাই বেড়ানোটাও খুব স্বাভাবিকভাবেই আনন্দদায়ক  ছিল না। তাসত্বেও একঘিয়েমির জীবনে কয়েকদিনের জন্য  প্রকৃতির সান্নিধ্যতা  খারাপ লাগে না।  বরং ভালই লাগে। তাই তো বারবার আসতে মনে হয় ।

        Heaven Valley Homestay

Phurba Tamang Ph no – 9635052623, 9679144195

Zuluk Tibetan Villa

Namgyal Bhutia Ph no – 9832043666, 8900229252

Gnathang Valley Sunset Homestay

Kb Pradhan Ph no – 8597395728, 9476298184


6 responses to “সুপ্রাচীন রেশমপথের আঁকে বাঁকে”

  1. My partner and i still can’t quite believe I could possibly be one of those reading through the important recommendations found on your site. My family and I are really thankful on your generosity and for giving me the chance to pursue this chosen profession path. Thank you for the important information I acquired from your web page.

  2. Hi, I do think this is an excellent website.
    I stumbledupon it 😉 I am going to return once again since
    I bookmarked it. Money and freedom is the
    best way to change, may you be rich and continue
    to guide others.

  3. I’ve been surfing online greater than 3 hours these days, yet
    I by no means discovered any attention-grabbing article like yours.
    It’s beautiful worth sufficient for me. In my opinion,
    if all webmasters and bloggers made just right content as you probably did, the
    internet might be much more useful than ever before.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *